Tuesday, July 26, 2016

আজ সিআরআই 'আজকের টপিক'-এ প্রচারিত হবে পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের নিয়ে দিদারুল ইকবালের বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের ‘দ্বিতীয় পর্ব’

আজ মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০১৬।
বেইজিং থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতার, বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রচারিত হবে “আজকের টপিক” অনুষ্ঠান (৫ মিনিটের খবরের পর)। অনুষ্ঠানের স্থিতি: ১০ মিনিট।
আজকের বিষয়: পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের নিয়ে দিদারুল ইকবাল-এর একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান-এর দ্বিতীয় পর্ব।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ০৭:০০টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের আশে-পাশের শ্রোতারা তাদের মোবাইল ফোনের ‘FM অ্যাপস’ অথবা ‘FM রেডিও’-তে অনুষ্ঠানটি শুনতে পাবেন যথাক্রমে ঢাকা: FM-102, এবং চট্টগ্রাম: FM-90.0 MHz-এ।
এছাড়া বাংলাদেশ সময় রাত ০৮:০০টা এবং ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ০৭:৩০টায় সর্বস্তরের শ্রোতারা তাদেঁর রেডিও সেটের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুনতে পাবেন যথাক্রমে MW-1269 KHz এবং SW-9490, 11610 KHz-এ।

আজ দ্বিতীয় পর্বে যাদের সাক্ষাৎকার প্রচার হবে:
(৪) বিধান চন্দ্র টিকাদার, গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ।
(৫) বিশ্বনাথ মণ্ডল, মুর্শিদাবাদ, ভারত এবং
(৬) রানা চ্যাটার্জী, কুচবিহার, ভারত।

সবাইকে অনুষ্ঠানটি শুনার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অনুষ্ঠান শুনে আপনার সুচিন্তিত মতামত দিন, সিআরআই-এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ

[নোট: বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬, বাংলাদেশ সময় সকাল ১০:০০টায় শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রামের আশে-পাশের শ্রোতারা তাদের মোবাইল ফোনের ‘FM অ্যাপস’ অথবা ‘FM রেডিও’-তে অনুষ্ঠানটির পুন:প্রচার শুনতে পাবেন একি FM ফ্রিকোয়েন্সিতে।]


দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
বাংলাদেশ।


এ প্রাসঙ্গিক ওয়েব লিংক সমূহ:::
সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বের অডিও লিংক সমূহ:

CRI বাংলা অনলাইন লিংক (অডিও+প্রতিবেদন+ছবি):

গুগল ড্রাইভ লিংক (শুধু মাত্র অডিও ফাইল):  

SARC Web Link (প্রতিবেদন):
http://sarc97.blogspot.com/2016/07/ajker-topic-1.html

Monday, July 25, 2016

আজ সিআরআই 'আজকের টপিক'-এ প্রচারিত হবে পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের নিয়ে দিদারুল ইকবালের বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের ‘প্রথম পর্ব’

আজ সোমবার, ২৫ জুলাই ২০১৬।
বেইজিং থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতার, বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রচারিত হবে “আজকের টপিক” অনুষ্ঠান (৫ মিনিটের খবরের পর)। অনুষ্ঠানের স্থিতি: ১০ মিনিট।
আজকের বিষয়: পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের নিয়ে দিদারুল ইকবাল-এর ধারণ করা বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের ‘প্রথম পর্ব’।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ০৭:০০টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের আশে-পাশের শ্রোতারা তাদের মোবাইল ফোনের ‘FM অ্যাপস’ অথবা ‘FM রেডিও’-তে অনুষ্ঠানটি শুনতে পাবেন যথাক্রমে ঢাকা: FM-102, এবং চট্টগ্রাম: FM-90.0 MHz-এ।
এছাড়া বাংলাদেশ সময় রাত ০৮:০০টা এবং ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ০৭:৩০টায় সর্বস্তরের শ্রোতারা তাদেঁর রেডিও সেটের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুনতে পাবেন যথাক্রমে MW-1269 KHz এবং SW-9490, 11610 KHz-এ।

আজ প্রথম পর্বে যাদের সাক্ষাৎকার প্রচার হবে:
(১) তপন বসাক, কুচবিহার, ভারত।
(২) শিবেন্দু পাল, মুর্শিদাবাদ, ভারত এবং
(৩) অজয় কুমার সরকার, বর্ধমান, ভারত।

সবাইকে অনুষ্ঠানটি শুনার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অনুষ্ঠান শুনে আপনার সুচিন্তিত মতামত দিন, সিআরআই-এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ

[নোট: মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০১৬, বাংলাদেশ সময় সকাল ১০:০০টায় শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রামের আশে-পাশের শ্রোতারা তাদের মোবাইল ফোনের ‘FM অ্যাপস’ অথবা ‘FM রেডিও’-তে অনুষ্ঠানটির পুন:প্রচার শুনতে পাবেন একি FM ফ্রিকোয়েন্সিতে।]


দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
বাংলাদেশ।

এ প্রাসঙ্গিক ওয়েব লিংক সমূহ:::
SARC Web Link:


Saturday, April 02, 2016

আজ ৯ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস : এবারের প্রতিপাদ্য, ‘অটিজম লক্ষ্য ২০৩০ : স্নায়ু বিকাশের ভিন্নতার একীভূত সমাধান’

আজ ২ এপ্রিল শনিবার, ৯ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এবার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘অটিজম লক্ষ্য ২০৩০ : স্নায়ু বিকাশের ভিন্নতার একীভূত সমাধান। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ৯ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৬-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। প্রতিবন্ধীরা এখন ক্রিকেটসহ নানা খেলায় চ্যম্পিয়ন হয়ে আসছে। একসময় মানুষের কাছে তাদের হেয় হতে হতো। এখন সেই সুযোগ নেই। তাদের জন্য আমরা সেরকম পরিবেশ করে দিব।  মেধা বিকাশের সুযোগ দিলে তারাও অনেক কিছু সমাজকে দিতে পারবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমি প্রতিবন্ধীদের বানানো ছবি দিয়ে কার্ড দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। এদের মধ্যে যে সুপ্ত মেধা আছে তা বিকশিত করার সুযোগ করে দিচ্ছি। শুধু সরকারি প্রচেষ্টা নয় বরং বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এসব কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্নায়বিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্তদের অংশগ্রহণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
৯ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অটিস্টিক ব্যক্তিদের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অটিস্টিক ব্যক্তিদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিত্তবান ও সচেতন ব্যক্তিবর্গসহ সকলেরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া খুবই জরুরি। তৃণমূল পর্যায়ে অটিস্টিক ব্যক্তিদের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।
আবদুল হামিদ বলেন, অটিস্টিক শিশুরা আমাদেরই প্রিয় সন্তান। ভালোবাসা ও সেবা দিয়ে তাদের লালন পালনের পাশাপাশি কর্মদক্ষ করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। কারণ উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণই অটিস্টিক শিশুকে কর্মদক্ষ করে তোলে। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্ম পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। অটিস্টিক ব্যক্তিদের সার্বিক উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে সরকারের পাশাপাশি দেশী-বিদেশী সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সকলকে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন অটিস্টিক শিশু কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে পরিবারের স্নেহ, ভালবাসা ও পরিচর্যার মাধ্যমে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে বিগত ৭ বছরে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। আমরা প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, সরকারি চাকুরিতে কোটা সংরক্ষণ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন, জাতীয় বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, প্রতিটি জেলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করেছি। আমরা অটিস্টিক ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় আইন ও বিধি প্রণয়ন করেছি। অটিস্টিক শিশুর শনাক্তকরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদানে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনাকনামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক ধারণা ছিল। বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণের ফলে অটিস্টিক শিশু ও প্রতিবন্ধীদের প্রতি এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেঅটিজম আক্রান্ত শিশু ও তার পরিবারের জন্য আর্থ-সামাজিক সহায়তাশীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এ প্রস্তাব উপস্থাপনকারী গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ ইনিসিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ-এর জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা হোসেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক্সিলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অটিস্টিক শিশু কিশোর, তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ৯ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অটিজম সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশ মানুষ অটিজম আক্রান্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৬৮ জন শিশুর মধ্যে একজন অটিস্টিক।

দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)
বাংলাদেশ।

আজ চীন বেতারে প্রচার হবে সিআরআই মহাপরিচালকের প্রথম বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষৎকার

CRI's DG Wang Gengnien
বন্ধুরা,
আজ ২ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায় FM: ঢাকা- 102.0 MHz এবং চট্টগ্রাম- 90.0 MHz-এ চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই), বাংলা বিভাগের মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে প্রচারিত হবে---- সিআরআই মহাপরিচালকের প্রথম বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষৎকার। সন্ধ্যা ৭টায় মিডিয়াম ওয়েভ এবং শর্টওয়েভে শ্রোতারা শুনতে পাবেন যথাক্রমে- 1188 kHz, 9490, 9600, 11610 MHz-এ।
অনুষ্ঠানটি শুনার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ রইল।
যাদের সাক্ষাৎকার প্রচার হবে;
(১) সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, চেয়ারম্যান, সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশ।   
(২) শহীদুল কায়সার লিমন, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক, সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশ এবং
(৩) মহিউদ্দিন তাহের, সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ ও কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের কনসালটেন্ট শিক্ষক।

দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)
বাংলাদেশ।
..........................................................

সিআরআই মহাপরিচালকের প্রথম বাংলাদেশ সফর
: পাণ্ডুলিপি :
শ্রোতাবন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে সিআরআই, ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে জেনে গেছেন প্রথম বারেরমত বাংলাদেশ সফর করেছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-এর মহাপরিচালক ওয়াং গেন নিয়ান।
গত ৩০-এ মার্চ বুধবার ৬ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের সিআরআই প্রতিনিধিদল দু’দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশে আসেন। সিআরআই সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন, মহাপরিচালক ওয়াং গেন নিয়ান, অর্থ বিভাগের পরিচালক মাদাম গং ছিংছিং, সংবাদ বিভাগের পরিচালক হুয়াং ইয়োং গুও, দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের পরিচালক লুও হোংবিং, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের উপ-পরিচালক মাদাম লিয়াও লি এবং অফিস বিভাগের পরিচালক চুং রেন যোং।
ঢাকা হযরত শাহজালাল (রা:) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি গেইটে চীনা অতিথিদের বাংলাদেশে স্বাগত জানায় সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশ, সিআরআই সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব এবং সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন, সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের চীনা পরিচালক শিয়ে নান আকাশ, বাংলাদেশ পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কনসালটেন্ট ও শিক্ষক মহিউদ্দিন তাহের, সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও সিআরআই বাংলাদেশ মনিটর দিদারুল ইকবাল, সিআরআই সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু প্রমূখ।
সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের চীনা পরিচালক শিয়ে নান আকাশ সিআরআই প্রতিনিধিদলের নেতাদের সাথে সিআরআই শ্রোতাসংঘের নেতৃবৃন্দের পরিচায় করিয়ে দেন।   
সিআরআই মহাপরিচালক ওয়াং গেন নিয়ান-কে শ্রোতাসংঘের পক্ষে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন, সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও সিআরআই বাংলাদেশ মনিটর (দিদারুল ইকবাল)। এছাড়া তিনি অতিথিদের শ্রোতাসংঘের পক্ষ থেকে উপহারও প্রদান করেন। সিআরআই দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের পরিচালক লুও হোংবিং-কে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের প্রতিনিধিবৃন্দ। সিআরআই মহাপরিচালক ওয়াং গেন নিয়ান বিমান বন্দরে শ্রোতাসংঘের প্রতিনিধিদের উপস্থিতির বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন, আনন্দ প্রকাশ করেন এবং শ্রোতাসংঘের প্রতিনিধিদের তিনি ধন্যবাদ জানান। অতিথিদের বরণ শেষে সেখানে শ্রোতাসংঘের প্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ে শ্রোতাস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচিত হয়। বিশেষ করে শর্টওয়েভ ও ইন্টারনেটের পাশাপাশি বাংলাদেশে এফএম সম্প্রচার পরিধি সম্প্রসারনের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। বর্তমানে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে এফএম-এ ১৮ ঘন্টা করে মোট ৩৬ ঘন্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়। যার মধ্যে পুন:প্রচার সহ বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয় ৬ ঘন্টা করে ১২ ঘন্টা বাকী ১২ ঘন্টা করে ২৪ ঘন্টা সম্প্রচার হয় ইংরেজী অনুষ্ঠান। এখানে সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও সিআরআই বাংলাদেশ মনিটর (দিদারুল ইকবাল) সিআরআই মহাপরিচালকের বাংলাদেশ সফরের পূর্বে সিআরআই বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইউ কোয়াং ইউয়েসহ শ্রোতাদের সাথে আলোচনা করেন বর্তমানে যে দুটি বিভাগীয় অঞ্চলে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) ১৮ ঘন্টা করে ৩৬ ঘন্টার এফএম অনুষ্ঠান চলছে তা ভাগ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বাংলা অনুষ্ঠান ৩ ঘন্টা করে ৬ ঘন্টা এবং ইংরেজী অনুষ্ঠান ১ ঘন্টা করে ২ ঘন্টা সর্বমোট ৮ ঘন্টা প্রচার করে বাকী ২৮ ঘন্টার অনুষ্ঠান অন্যান্য অঞ্চলে বিশেষ করে সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার এবং ঠাকুরগাঁও-এ ৩+১=৪ ঘন্টা করে প্রচারের উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশের আরো বেশি শ্রোতা এফএম-এর আওতায় চলে আসবে। এতে বাংলাদেশ বেতার তথা বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক কোন ক্ষতি হবেনা অপরদিকে সিআরআই এর শ্রোতারা লাভবান হবে। এবং এটি সিআরআই মহাপরিচালকসহ দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের পরিচালকের কাছে তুলে ধরা হয় যাতে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ বেতারের সাথে আলোচনা করা হয়।
৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগ বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ বেতার এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতার-এর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশ বেতারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে চীনা প্রতিনিধিদল মতবিনিময় করেন।
আলোচনায় বাংলাদেশ বেতারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন মহাপরিচালক এ কে এম নেছার উদ্দিন ভূইয়া এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতার-এর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন, মহাপরিচালক ওয়াং গেন নিয়েন। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বেতারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপ-মহাপরিচালক (সংবাদ) নারায়ন চন্দ্র শীল, প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ কামরুজ্জামান, সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এটিএম জিয়া হাসান, বহির্বিশ্ব কার্যক্রমের পরিচালক কামাল আহমেদ প্রমূখ। এছাড়া সিআরআই ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাথে বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সেলর চেন শুয়ান, সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের চীনা পরিচালক শিয়ে নান আকাশ, সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন তাহেরও উপস্থিত ছিলেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বৈঠকে আলোচনা হয় ভবিষ্যতে বেতারের সাথে বেতারের সহযোগিতা আরো কিভাবে বাড়ানো যায়, বিভাগীয় পর্যায়ে সিআরআই এফএম অনুষ্ঠানের পরিধি বাড়াতে আরো বেশি রেডিও স্টেশনকে কিভাবে সংযুক্ত করা যায়, বর্তমানে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে এফএম-এ ১৮ ঘন্টা করে ৩৬ ঘন্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার হচ্ছে। এই ৩৬ ঘন্টার অনুষ্ঠানকে ভাগ করে অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে এফএম চালু করা যায় কিনা সে বিষয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশ বেতারের সাথে চীন বেতারের কারিগরী সহযোগিতা, প্রশিক্ষণমূলক সহযোগিতা, কর্মশক্তি ও কর্মকর্তা বিনিময় এবং অনুষ্ঠান বিনিময় করতে নীতিগত ভাবে উভয়পক্ষ সন্মত হয়েছে। বর্তমানে যে চুক্তি রয়েছে তার আওতায় খুব শীঘ্রই কর্মকর্তা বিনিময় বা প্রশিক্ষণ বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশ বেতার তাদের বহির্বিশ্ব কার্যক্রমে ৭ম ভাষা হিসেবে চীনা ভাষার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-এর সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ বেতার। সব মিলিয়ে উভয় বেতারের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন বা রাজি হয়েছেন। এখন বাংলাদেশের আইনকানুন এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে কাজগুলি বাস্তবায়ন সহজ হয়ে যাবে। 
পরে চীনা অতিথিবৃন্দ সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন। এবং সেখানে ক্লাসরুমের পরিবেশনাগুলি উপভোগ করেন।
যাই হোক এখন আমরা সিআরআই-এর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বাংলাদেশ সফরের গুরুত্ব নিয়ে দু’জন শ্রোতাসংঘের প্রতিনিধি এবং সিআরআই কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের কনসালটেন্টের সাথে কথা বলবো। সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক শহীদুল কায়সার লিমন এবং সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ ও কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের কনসালটেন্ট শিক্ষক মহিউদ্দিন তাহের সিআরআই প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের গুরুত্ব নিয়ে তারা কি বলেছেন তা এখন আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো।
  
শ্রেতাবন্ধুরা আপনারা এতক্ষণ শুনছিলেন সিআরআই মহাপরিচালকের বাংলাদেশ সফরের ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আপনারা জানেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-এর কোন মহাপরিচালকের এটিই ছিল প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ওয়াং গেং নিয়াং-এর বাংলাদেশ কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আমার খুব ভাল লাগে। বাংলাদেশের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব আছে। চীন এখন উন্নয়নের রাস্তায় আছে বাংলাদেশও উন্নয়নের রাস্তায়। আমরা এ উন্নয়নের কাজ এক সঙ্গে করতে চাই। দুই পক্ষই যদি আমরা উন্নয়নের সঙ্গী হই তাহলে এই উন্নয়নটা আরো জোরদার হবে। কারণ আমরা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি বাংলাদেশও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা যদি আমরা সত্যিকার অর্থে করতে পারি তাহলে আমাদের সম্পর্কটা আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে। তাঁর এই প্রত্যাশা সফল হোক, এই কামনা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি আমি-

দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
বাংলাদেশ।