Thursday, November 12, 2015

বাংলাদেশের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় চীন বেতারের খবর

চলতি বছর নভেম্বর মাসটি চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা বিভাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। ‘বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর’-কে কেন্দ্র করে এমাসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হয় দ্যা ফ্লেবারর্স অব চায়না “চীনা খাদ্য উৎসব ২০১৫” এবং “ইমেজ অব ফ্রেন্ডশিপ বিটুইন চায়না অ্যান্ড বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
বড় বড় এ দু’টি আয়োজনের নানা বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের প্রিন্ট বা দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক বা বেতার ও টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটে অনলাইন মিডিয়াগুলি খবর বা ফিচার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রকাশ ও প্রচার করেছে। শুধু যে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলি সংবাদ প্রচার বা প্রকাশ করেছে তা কিন্তু নয়, চীনের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমও এ সম্পর্কিত সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করেছে।  
রাজধানী ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ-এ গত ৩-৭ নভেম্বর পর্যন্ত আয়োজন করা হয় দ্যা ফ্লেবারর্স অব চায়না শিরোনামে “চীনা খাদ্য উৎসব ২০১৫”। ৫ দিন ব্যাপী এ খাদ্য উৎসবটি চলে হোটেলের ক্যাফে বাজার রেস্টুরেন্টে “ডিনার ব্যুফেট” হিসেবে।
চীনা খাদ্য উৎসবটির উদ্বোধন করেছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসের মাননীয় রাষ্ট্রদূত মা মিংচিয়াং। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা বিভাগের উপ-পরিচালক চাও ইয়ানহুয়া (সুবর্ণা), হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ-এর জেনারেল ম্যানেজার ই.জে.ম্যাক ইভান।
চীনা খাদ্য উৎসবটি বাংলাদেশের এবং বিদেশী ভোজন রসিকরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
চীনা খাদ্য উৎসবটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই); হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ, ঢাকা; বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস এবং ইডাচু লিমিটেড চায়না।
এছাড়া গত ৫-১০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে আয়োজন করা হয় “ইমেজ অব ফ্রেন্ডশিপ বিটুইন চায়না অ্যান্ড বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে “ক্যামেরায় চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী” শীর্ষক প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর চেন শুয়াং এবং সিআরআই বাংলা বিভাগের উপপরিচালক চাও ইয়ানহুয়া (সুবর্ণা)।           
আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে আয়োজন করে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই), বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
এই বৃহৎ দু’টি অনুষ্ঠানের প্রতিদিনের সংবাদ বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়া জাতীয় বাংলা দৈনিক সমকাল, ইত্তেফাক, আমাদের সময়, প্রথম আলো, কালের কন্ঠ, যায়যায়দিন, জাতীয় ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টার, অবজরবার, নিউএইজ, নিউ ন্যাশন, ঢাকা ট্রিবিউন, ডেইলি সান, -এর এক এবং একাধিক কলামে সংবাদ, ফিচার ও ছবি ছাপানো হয়েছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল- ইটিভি, এনটিভি, দেশটিভি, মাইটিভি, চ্যানেল আই, বাংলাভিশন, দিপ্ত টিভিসহ অন্যান্য টিভিও সংবাদ প্রচার করেছে।
এছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়ার আরেক মাধ্যম বাংলাদেশ বেতারও জাতীয় ভাবে একাধিকবার বাংলা ও ইংরেজীতে সংবাদ এবং সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে।  
সবমিলিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলিতে দু’টি অনুষ্ঠানের কাভারেজ অভূতপূর্ব ভাবে পেয়েছে। যা পত্রিকার পাঠক ও টেলিভিশনের দর্শকদের চীন এবং বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়গুলিকে আরো সহজ ভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে।
এখানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদের লিংক দেওয়া হলো:
(১) দৈনিক সমকাল:

দিদারুল ইকবাল
বাংলাদেশ মনিটর
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
ঢাকা, বাংলাদেশ।

Wednesday, November 11, 2015

পর্দা নামল “ইমেজ অব ফ্রেন্ডশিপ বিটুইন চায়না অ্যান্ড বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পর্দা নাম “ইমেজ অব ফ্রেন্ডশিপ বিটুইন চায়না অ্যান্ড বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর।
গত ৫ থেকে ১০ নভেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে সর্বস্তরের দর্শকদের জন্য প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত ছিল। 
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শতশত দর্শক প্রদর্শনীটি দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন জাতীয় জাদুঘরে। প্রদর্শনী দেখতে অন্যান্য শ্রেণী পেশাল দর্শকদের পাশাপাশি সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকেও এসেছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-এর শ্রোতাবন্ধুরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সিআরআই কতৃক আয়োজিত “ক্যামেরায় চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী” শীর্ষক প্রদর্শনীটি তাদেরকে খুব কাছ থেকে চীনকে জানার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এ ধরনের প্রতিযোগিতা নিয়মিত অব্যাহত রাখা এবং ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও প্রদর্শনীটি বার বার আয়োজন করার জন্য তাঁরা জোড়ালো প্রস্তাব ও দাবি জানিয়েছেন।   
গ্যালারীতে প্রদর্শীত ১২৫টি ছবি দেখে বহু দর্শনার্থী “ভিজিটর বুকে” তাদের মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। এছাড়া সিআরআই এর বিশেষ সাক্ষাৎকারেও বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতারের শ্রোতাবন্ধুরা তাদের অনুভূতি এবং ভালোলাগার কথাগুলি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে লাল ফিতা কেটে “ইমেজ অব ফ্রেন্ডশিপ বিটুইন চায়না অ্যান্ড বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর চেন শুয়াং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সিআরআই বাংলা বিভাগের উপপরিচালক চাও ইয়ানহুয়া (সুবর্ণা)।
“ক্যামেরায় চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে আয়োজন করে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই), বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
প্রদর্শনী উদ্বোধনের আগে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ ছয়জন চীনা শেফ হাতে তৈরী নুডুলসসহ চীনের কয়েকটি জনপ্রিয় খাবার তৈরী করে দেখান এবং উপস্থিত দর্শকদের স্বাদ নিতে সেগুলি পরিবেশন করেন। চীনা শেফদের খাবার তৈরীর নৈপুণ্য উপস্থিত সকলকে বিমুগ্ধ করেছে, বিস্মিত করেছে।    

দিদারুল ইকবাল
বাংলাদেশ মনিটর
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
ঢাকা, বাংলাদেশ।

Tuesday, November 10, 2015

মন্ত্রী, বেতার ও জাদুঘরের মহাপরিচালক এবং দর্শকদের চীন বেতারে সাক্ষাৎকার প্রদান

বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে চলতি বছর নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হয় দ্যা ফ্লেবারর্স অব চায়না “চীনা খাদ্য উৎসব ২০১৫” এবং “ইমেজ অব ফ্রেন্ডশিপ বিটুইন চায়না অ্যান্ড বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
রাজধানী ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ-এ গত ৩ নভেম্বর চীনা খাদ্য উৎসবের উদ্বোধন করেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়া ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান “ক্যামেরায় চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
বৃহৎ এ দু’টি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অসংখ্য গুণীজন, দর্শক উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) এর শ্রোতাবন্ধুরাও। 
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সিআরআই মনিটর দিদারুল ইকবাল।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
চীন আন্তর্জাতিক বেতার-কে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল।
সিআরআই-কে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, নাটোর জেলার শ্রোতা রাশেদুল ইসলাম
সিআরআই-কে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, নাটোর জেলার শ্রোতা তন্ময় কুমার
সিআরআই-কে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, নাটোর জেলার শ্রোতা রাকিবুল হাসান রবিন।
সিআরআই-কে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, নাটোর জেলার শ্রোতা সোহাগ কুমার
সিআরআই-কে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, বগুড়া জেলার শ্রোতাবন্ধু এম এ বারিক।

এই অনুষ্ঠানগুলি চলাকালীন সময়ে সিআরআই বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন এবং দর্শকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মাননীয় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) সালাউদ্দিন আহমেদ, উপ-পরিচালক এএসএম মামুন প্রমূখ।
এছাড়া শ্রোতাদের মধ্যথেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, ভাইস চেয়ারম্যান মো: ওসমান গণী, নাটোর জেলার শ্রোতা রাশেদুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান রবিন, তন্ময় কুমার, সোহাগ কুমার, বগুড়া জেলার শ্রোতা এমএ বারিক প্রমূখ।       
উল্লেখ্য, চীনা খাদ্য উৎসব এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই); বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস; হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ, ঢাকা; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং ইডাচু লিমিটেড চায়না।   

দিদারুল ইকবাল
বাংলাদেশ মনিটর
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
ঢাকা, বাংলাদেশ।